দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারে এনবিআরকে চিঠি
আরও কমতে পারে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন ফির ওপর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে।
সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে রেজিস্ট্রেশন খরচ আরও কমবে। মূলত পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে ফি সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২ ফেব্রুয়ারি বিআরটিএ ৬ বছর পর রেজিস্ট্রেশন ফি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ১০০ সিসি বা তার নিচের ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি ২ হাজার টাকা করা হয়। এর আগে এই ফি ছিল ৪ হাজার ২০০ টাকা।
এছাড়া ১০০ সিসির বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। এই ফি আগে ছিল ৫ হাজার ৬০০ টাকা। সর্বশেষ ২০০৮ সালে সড়ক কর ও ২০১৪ সালে মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন ফি পুনর্র্নিধারণ করা হয়। ভ্যাট আইন অনুযায়ী, রেজিস্ট্রেশন ফির ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আরোপিত আছে।
সে হিসাবে ১০০ সিসির কম ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফির ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ৩০০ টাকা এবং ১৫ শতাংশ হারে সম্পূরক ৩৪৫ টাকা প্রযোজ্য।
একইভাবে ১০০ সিসির বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলের যথাক্রমে ৪৫০ টাকা ভ্যাট ও ৫১৮ টাকা সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য। বিআরটিএ এনবিআরকে চিঠি দিয়ে এই ৩৪৫ টাকা ও ৫১৮ টাকা প্রত্যাহার করতে অনুরোধ জানিয়েছে।
বর্তমানে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনকালে রেজিস্ট্রেশন ফি, সড়ক কর, পরিদর্শন ফি, রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নম্বর প্লেট ফি, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ফি এবং এসব ফির ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়। যা চালকদের কাছে রেজিস্ট্রেশন ফি নামেই পরিচিত।
এনবিআর সূত্র জানায়, অর্থবছরের মাঝপথে এসে পণ্য বা সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। তবে এনবিআর চাইলে সাময়িক সময়ের জন্য অব্যাহতি দিতে পারে। বিআরটিএ’র চিঠি পর্যালোচনা করা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নীতিগত সম্মতি পেলে অর্থমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানো হতে পারে। তা না হলে বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এ বিষয়ে টিভিএস বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার রায় বলেন, এটা ভালো উদ্যোগ। তবে শুধু রেজিস্ট্রেশন ফি কমালে হবে না। এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক অন্য ফিও কমাতে হবে। যেমন সড়ক কর, পরিদর্শন ফি, রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নম্বর প্লেট ফি আগের মতোই রাখা হয়েছে। এসব না কমালে শুধু রেজিস্ট্রেশন ফি কমিয়ে সুফল পাওয়া যাবে না।
বিআরটিএর তথ্য মতে, ২০২০ সাল পর্যন্ত সারা দেশে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩১ লাখ ২৫ হাজার ৬৫৩টি। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই মোটরসাইকেল রয়েছে ৭ লাখ ৯৫ হাজার ১৯৬টি। আর বিআরটিএতে সর্বমোট নিবন্ধিত যানবাহন রয়েছে ৪৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৮টি।