দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরে কিশোরীকে (১৩) দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা-পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩) যৌথ অভিযানে ঢাকার উত্তরখান থানার হজ ক্যাম্প এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল রাতে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. সাদ্দাম ওরফে সাদ্দাম হোসেন ওরফে রুবেল (৩৭)। তিনি সোনাইমুড়ীর একটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মৃত্যুদণ্ডের সাজা নিয়ে ১০ বছর ধরে পলাতক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, ২০১২ সালের ১৯ জুলাই লক্ষ্মীপুর সদর এলাকায় একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ ডাকাত দল একটি বাড়িতে ডাকাতি ও লুটপাটের পাশাপাশি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরী মারা যায়। এ ঘটনায় ১৪ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির এক স্বজন। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২৫ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
এর মধ্যে ২০ আসামি বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। ২০১৪ সালে লক্ষ্মীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বাকিদের মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালতে দুজন আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয় এবং বাকি আটজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেনসহ চারজন এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে একজন পলাতক ছিলেন। এর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সোমবার সকালে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাদ্দাম হোসেনকে ঢাকা থেকে সোনাইমুড়ী থানায় আনা হয়েছে। তাঁকে আজ দুপুরে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে