মান্দারীতে চেয়ারম্যান-এলাকাবাসীর যৌথ প্রচেষ্টায় ৪ চোর আটক।

অপরাদ চন্দ্রগঞ্জ সদর

সাহাদাত হোসেন (দিপু) ঃ-
লক্ষ্মপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার মান্দারী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রাম থেকে চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় চুরির ঘটনায় চার চোরকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। রোববার রাত ১০টায় রতনপুর গ্রামের এক বাড়িতে এ চুরির ঘটনা ঘটে। পরে চেয়ারম্যান মেম্বার ও স্থানীয়দের যৌথ প্রচেষ্টায় রতনপুর এলাকা থেকে ৪ জনকে আটক করেন স্থানীয় জনতা।

আটককৃতরা হলেন যুগীর হাটের খালেকের ছেলে আরাফাত (১৫), কেন্দুরভাগের ইব্রাহিমের ছেলে ইমন (১৬) একই এলাকার সেলিমের ছেলে রায়হান (১৫), বাংলাবাজারের স্বপনের ছেলে হৃদয় (১৪)।

আটককৃত ৪ চোরকে ইউনিয়ন পরিষদের হস্তান্তর করেন স্থানীয় জনতা। পরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান চন্দ্রগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেন।

মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটোয়ারী জানান, বিগত কয়েকদিনে মান্দারী ইউনিয়নে কয়েকটি বাড়িতে চুরি হয়েছে, এই চুরির বিষয়ে কয়েকটি অভিযোগ এসেছে আমার কাছে।

তারপর থেকে আমি ও আমার পরিষদের ইউপি সদস্যগণ প্রশাসনের সহযোগিতায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি এই চোর গুলোকে ধরার জন্য। অবশেষে সকলের যৌথ প্রচেষ্টায় চোরগুলোকে ধরতে সক্ষম হই।

তিনি এই সময়ে চোর, ডাকাতসহ এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যাঁরা সুস্থ পরিবেশকে ঘোলাটে করতে মরীয়া হয়ে উঠেছেন এবং এঁদেরকে কারা মদদ দিচ্ছেন সেটাও কমবেশি আমাদের জানা, তিনি তাদের উদ্দ্যশে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, এখন সময় আছে খবরদার ভালো হয়ে যান, পরে পালানোর পথ ও খুঁজে পাবেন না। মান্দারী ইউনিয়নবাসীকে ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এদেরকে প্রতিহত করা হবে। চেয়ারম্যান আরও বলেন মান্দারী ইউনিয়নবাসীর সুরক্ষায় আমি বদ্ধপরিকর, মান্দারী ইউনিয়নের আপামর জনসাধারণ ভালো থাকলে ভালো থাকি আমি। এলাকাবাসী ভালো থাকার জন্য আমি ও আমার পরিষদের ইউপি সদস্যগন তাদের সবটুকু দিয়ে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন।

এইসময় উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক আবু তালেব ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মমিন উল্ল্যাহসহ প্রমুখ।

চন্দ্রগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই ফারুক হোসেন দিগন্তের আলোকে বলেন , মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটোয়ারী মুঠোফোনে মান্দারী এলাকা থেকে চারজন চোরকে আটক করেছেন বলে থানায় জানান, পরে রাতে আটকৃত চারজন চোরকে মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের থেকে আমরা থানায় নিয়ে এনেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *