ব্যবসায়ীর দোকানঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

অপরাদ কমলনগর

দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-

কমলনগরে মুদি দোকানির কাছ থেকে নির্ধারিত রেটের বাইরে অতিরিক্ত ৩০ টাকা খাজনা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ব্যবসায়ীর দোকানঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আমিন উল্লাহ বাদী হয়ে উপজেলার তোরাবগঞ্জ বাজারের সাব-ইজারাদার ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবুল কাশেমসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন।

রোববার আদালতের বিচারক ভিক্টোরিয়া চাকমা মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তোরাবগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. আমিন উল্লাহ কাঁচাবাজারের গলির মুখে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মুদি মনোহরি মালের ব্যবসা করে আসছেন। রোববার শুধু হাটের দিনের জন্য নির্ধারিত খাজনার ১৮০ টাকার স্থলে আরও ৩০ টাকা অতিরিক্ত দাবি করেন ইজারাদার আবুল কাশেম। বাড়তি ৩০ টাকা না দেওয়ায় দোকান মালিক আমিন উল্লাহর সঙ্গে ইজারাদার কাশেমের কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে ঘটনার দুদিন পর গত মঙ্গলবার গভীর রাতে আবুল কাশেম তার অন্য সহযোগী শরীফ, আবু কালাম, আরিফ ও কামাল মিলে ব্যবসায়ী আমিন উল্লাহর দোকানঘরের মালামাল, নগদ টাকা ও দোকানের হিসাব সংরক্ষণের চারটি টালি খাতা লুট করে নিয়ে যান এবং দোকানঘরটি ভেঙে দূরবর্তী নির্জন স্থানে ফেলে দেন। এতে ক্রেতার কাছে আমিন উল্লাহর বকেয়া পাওনার প্রায় ২৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি দোকানে থাকা মুদি-মনোহরির চার লাখ টাকার মালামাল, ক্যাশবাক্সে থাকা নগদ ৫৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এজাহারে আরও উল্লে­খ করা হয়, অভিযুক্ত ইজারাদার কাশেম দোকানঘরটি উচ্ছেদ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাতারাতি শরীফ নামে এক ব্যক্তিকে সেখানে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ করে দেন। সকালে এসে তিনি দেখতে পান সেখানে শরীফ দোকানদারি করছেন। অন্যদিকে তার দোকানটি দুমড়ে-মুচড়ে অন্যত্র ফেলে রাখা হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে সাব-ইজারাদার আবুল কাশেম নিজেকে প্রভাবশালী এক নেতার লোক দাবি করে বলেন, কাঁচাবাজারটি তিনি ইজারা নেননি। ইজারাদার শাহ আলম বেপারির হয়ে খাজনা আদায় করেন তিনি। বিনিময়ে দৈনিক ৫০০ টাকা করে বেতন পান। অন্যদিকে আমিন উল্লাহ কয়েক দিনের খাজনা আটকে দেওয়ার কারণে তার দোকানটি সরিয়ে শরীফ নামে একজনকে সেখানে দোকান করার সুযোগ করে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *