দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষা-সংস্কৃতির বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। চলতি বছরের শুরুতে বৈশ্বিকভাবে হঠাৎ করোনা ভাইরাস মহামারি দেখা দিলে যেখানে বিশ্বের অনেক শক্তিশালী দেশে হাহাকার দেখা দিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ সরকার চরম ধৈর্য নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে দেশের জনগণকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সুস্থ রাখার ব্যবস্থা করেছে।
ধর্ম, বর্ণ, ধনী, গরীব, ব্যবসায়ী ,শিক্ষা -সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সকল পর্যায়ের মানুষকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করেছে সরকার, যা এখনো অব্যাহত আছে। বিশেষ করে সংস্কৃতি সংগঠন, সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো অতীতে এতটা সহযোগিতা পায়নি বর্তমান সরকার যেভাবে সহযোগিতা করেছে। করোনা কালীন সময়ে দুস্থ সংস্কৃতিকর্মীদের পাশাপাশি তৃণমূল সেচ্ছাসেবী সংগঠন, বেসরকারি গ্রন্থাগার গুলোকেও সরকার সহযোগিতার আওতায় নিয়ে এসেছে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে দেশের ৭৩২ টা গ্রন্থাগারে সরকার ৩,৬৫,০০০০০ (তিন কোটি পয়সুট্রি লক্ষ ) টাকা অনুদান দিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র। ১৪০০ আবেদন করলেও স্হানীয় প্রশাসনে সরেজমিন যাচাই -বাছাই করার মাধ্যামে অনুদান প্রাপ্ত গ্রন্থাগার চূড়ান্ত করা হয় । যাতে করে প্রকৃত গ্রন্থাগার উদ্যোক্তাদের হাতে অনুদান পৌঁছে, যার ৫০% ব্যাংকিং চ্যানেল পাঠানো হয়, ৫০% সমপরিমাণ টাকার বই দেওয়া হয়। যা সংগ্রহ করতে হয় গুলিস্তানে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র হতে। করোনা ঝুঁকি এড়াতে ১লা সেপ্টেম্বর হতে ২৯ অক্টোবর বিভাগ ভিত্তিক বই সরবরাহ করা হয়, পাশাপাশি বই নেওয়ার জন্য দেওয়া হয় নির্ধারিত পরিমাণ যাতায়াত ভাতা। তারই ধারাবাহিকতায় চট্রগ্রাম বিভাগের লক্ষ্ণীপুর জেলায় “গোফরান স্মৃতি পাঠাগার “সহ সর্বোচ্চ ১৪ টি পাঠাগার সরকারি অনুদান প্রাপ্ত হয়। বই সংগ্রহ করতে আশা প্রতিনিধিদলের আহবান ছিলো সরকার যেন অনুদান প্রদানের এই ধারা নিয়মিতভাবে অব্যাহত রাখে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘টাকা-পয়সা যেখানে যা দরকার তা দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা যাতে সচল থাকে আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে আগাম টাকা-পয়সা দিয়ে সরকার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কেনার উদ্যোগও নিয়েছে।’
পুলিশ জানায়, গত ১২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ১১টি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৮টি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। যার অধিকাংশের অভিযুক্তই বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক কাজ করেছি, অনেক দূর এগিয়ে দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হয়েছে। আগে যেখানে বাংলাদেশ ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে চলতো এখন আর চলে না।’
তিনি বলেন, ৯০ শতাংশ বাজেট নিজেদের অর্থেই আমরা বাস্তবায়ন করছি এবং পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থে করার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম সেটাও আমরা করে যাচ্ছি।
তাঁর সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক এবং প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন জাতি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি।’