বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীর প্রশংসায় যা লিখলেন মুশফিক

বি‌নোদন

দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীর প্রশংসায় মুশফিকের আবেগঘন বার্তা
করোনানীতিতে ফ্রেমে আটকে পড়ে ক্রিকেটাররা আর আগের মতো পরিবারকে সময় দিতে পারেন না। সিরিজ শুরুর বেশ কয়েক দিন আগে থেকে শেষ পর্যন্ত জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার কারণে স্ত্রী-সন্তানদের দেখাই পান না তারা।

আর সব ক্রিকেটারের মতোই অবস্থা বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের।

তবে তার ভাগ্য ভালো যে, এমন দিনে তার বিবাহবার্ষিকী এলো যে সময়ে জাতীয় দলের কোনো খেলা নেই।

সেই সুযোগে সহধর্মিণী জান্নাতুল কিফায়াতের সঙ্গে বিশেষ দিনটি উপভোগ করলেন মুশফিক। স্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলে নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন তিনি।

মুশফিকের সেই পোস্ট দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয় কেড়ে নিয়েছে। শুভেচ্ছায় ভাসছেন এ দম্পতি।

পোস্টের ৮ ঘণ্টায় আড়াই লাখের কাছাকাছি রিয়েক্ট জমা পড়েছে। বেশিরভাগই লাভ রিয়েক্ট। তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে কমেন্ট জমা পড়েছে ১৬ হাজারের বেশি।

মুশফিক জানিয়েছেন, সাত বছরের দাম্পত্য জীবন পেরিয়েও নিজেকে স্বামী হিসেবে ‘নিখুঁত’ মনে করেন না। কিন্তু স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াতকে তিনি তার নিজের জন্য একেবারে ‘নিখুঁত’ জীবনসঙ্গীই মনে করেন।

পোস্টে সেই কথাই লিখলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।

ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ সুখে সাত বছর পার করলাম। হয়তো আমি নিখুঁত স্বামী নই। কিন্তু তুমি আমার নিখুঁত জীবনসঙ্গী এবং জান্নাত থেকে পাওয়া আত্মার বন্ধু। ইনশাআল্লাহ মানুষ হিসেবে উন্নতি করতে থাকব। আর আমি তোমার কাছ (স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াত) থেকে অনেক কিছুই শিখেছি প্রিয়তমা। দয়া করে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত পাশে থেকো। অনেক ভালোবাসি তোমাকে।’

প্রসঙ্গত জান্নাতুল কিফায়াত বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সহধর্মিণীর ছোট বোন। ২০১৩ সালে মাহমুদউল্লাহর মাধ্যমেই কিফায়াতের সঙ্গে পরিচয় হয় মুশফিকের। এর পর সখ্য বাড়ে, মন দেওয়া-নেওয়া ঘটে। ২০১৪ সালে প্রেমের পরিণতি টানেন বিয়ের মাধ্যমে। দাম্পত্য জীবনকে শাহরোজ রহিম মায়ান নামে ছেলে রয়েছে মুশফিকের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *