বিদায় মাশরাফি, হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুয়ে

খেলাধুলা

 

দিগন্তের আলো ডেস্ক :

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডে দিয়ে অধিনায়কত্বের ইতি টানলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের লক্ষ্য ছিল নেতৃত্বের শেষটায় মাশরাফি বিন মর্তুজাকে জয় উপহার দেওয়া। শুধু জয়ে নয়, লিটন দাস এবং তামিম ইকবাল উড়ন্ত ব্যাটিং করে রেকর্ড রাঙা জয়ের পথ রচনা করে দেন।

শুধু ব্যাটিং তাণ্ডবে নয়, বোলিংয়েও রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে টাইগার বাহিনী। বৃষ্টি বিঘ্নিত তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ১২৩ রানে হারিয়ে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে অধিনায়ক হিসেবে পঞ্চাশতম ওয়ানডে ম্যাচ জিতে মাইলফলক স্পর্শ করেন মাশরাফি।

শুক্রবার (৬ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এ ম্যাচ দিয়ে অধিনায়কত্বের ইতি টানেন মাশরাফি। তবে নেতৃত্ব দানের শেষ ম্যাচে টসে হারেন তিনি। অবশ্য টসে জিতলেও বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে।

লিটন ছাড়াও দারুণ ব্যাটিং করেন আরেক ওপেনার তামিম। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেন তিনি। এর আগে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুটি সেঞ্চুরি করেন তামিম। এবার আবারো একই কীর্তি গড়েন তিনি। তামিম এবং লিটনের জোড়া সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৩২২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তবে বৃষ্টি আইনে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ৩৪২ রান।

৩৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দীনের তোপে ২ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ওপেনার টিনাশে কামুনহুকামউইকে (৪) সাজঘরে ফেরান অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচ খেলতে নামা ‘ম্যাশ’। সাইফউদ্দীন তুলে নেন ব্রেন্ডন টেইলরকে (১৪)।

অবশ্য প্রতিরোধের চেষ্টা করেন ওপেনার রেগিস চাকাবা ও অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। তবে তাদের এ জুটি ভাঙেন অভিষেক ওয়ানডে খেলতে নাম আফিফ হোসেন। উইলিয়ামস ফেরেন ব্যাক্তিগত ৩০ রানে। এরপর চাকাবাকে (৩৪) বোল্ড করেন তাইজুল ইসলাম। ওয়েসলি মেধেভেরেকে (৪২) নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান সাইফউদ্দীন। রান আউট হয়ে ফেরেন উইকেটরক্ষক রিচমন্ড (০)।

শেষ দিকে সিকান্দার রাজার ৫০ বলে ৬১ রানের ইনিংস শুধু ব্যবধানই কমায়। তাকে তুলে নেন সাইফউদ্দীন। ডোনাল্ড ট্রিপানোকে ব্যক্তিগত ১৫ রানে বোল্ড করেন তাইজুল ইসলাম। আর চার্লটন শুমা শূন্য রানে বোল্ড হন সাইফউদ্দীনের বলে।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট তুলে নেন সাইফ। দুই উইকেট পান তাইজুল। এছাড়া একটি করে উইকেট পান মাশরাফি, মিরাজ ও মোস্তাফিজ।
কালের কণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *