দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের মুনছুর আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আট বছরের এক ছেলে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিশুটির ভাই বাদী হয়ে শনিবার (৩১ আগস্ট) লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছে।
মামলার বিবরণী ও এলাকাবাসী জানান, ওই এলাকায় বন্যার কারণে প্রায়ই সবার বাড়িঘরে পানি উঠে যাওয়ার কারণে মুনছুর আহমদ উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠে শিশুটির পরিবার। পাঁচ দিন আগে শিশুটি ওই আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠে।
ঘটনার দিন গত ২৫ এবং ২৯ আগস্ট গভীর রাতে শৌচাগারে যাওয়ার পথে শিশুটিকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি এই ঘটনা তার পরিবারকে জানায়। জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার উদ্যোগ নেয় একটি মহল। এরই ফাঁকে মূল অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর বড় ভাই জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে ওই ব্যক্তি আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। আমরা এলাকায় বিচার চাইলে একটি পক্ষ মীমাংসা করার উদ্যোগ নেয়।
একই বাড়ির এক ব্যক্তি বলেন, ভিকটিম ও অভিযুক্ত আমাদের একই বাড়ির। বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য আমি ও অভিযুক্ত মাঝি উদ্যোগ নিই। আমি শিশুটির চিকিৎসার জন্য ১৫০০ টাকা দিয়েছি। কিন্তু তারা চিকিৎসা নেয়নি। তবে অভিযুক্তের ভাগিনা বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণে সব দিকে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়েছে। এখন তারা যদি আইনের আশ্রয় নেয় সেটা তাদের বিষয়। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ও তার ভাগিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্তের স্ত্রী বলেন, আমি কিছুই জানি না। তবে গতকাল এলাকার শতাধিক মানুষ ভিড় করেছে বাড়ির সামনে। আমার স্বামী এ ঘটনার সাথে জড়িত কিনা আমি জানি না।
বেসরকারি সংস্থা জেমসের নির্বাহী পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সেনা ক্যাম্প থেকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ভিকটিম ও তার মাকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। শিশুটিকে এবং তার পরিবারের আইনি পক্রিয়াসহ সব বিষয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা কাম্য হতে পারে না।
সদর থানার ওসি ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।