দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরে ভয়াবহ বন্যায় সদর উপজেলার প্রায় সবকয়টি ইউনিয়ন পুরোপুরি তলিয়ে যায়। যার ফলে এসব এলাকার বানভাসি পরিবারগুলোর ঠিকানা হয় উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলো।
এসব কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া অসহায় মানুষের খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কাজ করছেন সরকারি, বেসরকারিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে অনেকে এগিয়ে এসেছেন এসব বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায়। তাদেরই একজন লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মেরাজ চৌধুরী।
জানা যায়, নিজস্ব অর্থায়নে বন্যা কবলিত সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের একটি ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের একটিসহ মোট দুইটি আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় ২ শতাধিক ব্যক্তিকে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন মানবিক এই ছাত্রনেতা।
এ সময় লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রুবেল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজসহ জেলা ছাত্রদলের আরও নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও তিনি একাধিক চিকিৎসকের সমন্বয়ে প্রতিদিনই দুর্গতদের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবাই শুকনো চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট দিলেও মিরাজ চৌধুরী আশ্রিতদের জন্য বাবুর্চি এনে রান্না করাচ্ছেন। এতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বয়স্ক ও শিশুদের অনেক সুবিধা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মেরাজ চৌধুরী বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির নির্দেশে’ ও লক্ষীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সার্ভিক তত্বাবধানে, আমি এ উপজেলার দুর্গত মানুষের সেবায় কোনো স্বার্থের মোহে কাজ করছি না। আগে করোনাসহ বিভিন্ন সময়ে আমি মানুষের পাশে ছিলাম। এবারও আছি। যতদিন আল্লাহ সামর্থ্য রাখবেন ততদিন অসহায়, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাব। তিনি আরও বলেন দুর্গত মানুষের সেবায় আমার এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।