দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ¥ীপুরের বিভিন্ন স্থানে বন্ধুর সঙ্গে ঘোরাঘুরির ছবি ফেসবুকে দেওয়ার কারণে বকা দেওয়ায় তানজু আক্তার (১৮) নামে এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। পরে তার ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয় এবং বুধবার সকাল ৮টায় ওই ছাত্রীকে তার বাবার বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।
তানজু রায়পুরের সোনাপুর ইউপির রাখালিয়া গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছোট মেয়ে। সে প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজর চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
অভিযোগ রয়েছে, কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ছাত্রীকে বকা দেয়। এতে অভিমান করে তানজু বেলা ১১টার দিকে রায়পুর উপজেলার সোনাপুর এলাকায় নানাবাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
তানজুর মা মাজেদা বেগম বলেন, আমার মেয়ের মোবাইলে কিছু ছবি ছিল। ওই ছবি নিয়ে ঝামেলা হয়। এতে মিজানুর রহমান তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাকে বকা দেয়। এটি সহ্য করতে না পেরে সবার অগোচরে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। মিজানের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। আমি তার বিচার চাই।
কলেজ পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, পারিবারিক অভিভাবক হিসেবে তানজু আমাকে মানতো। সম্প্রতি তার সঙ্গে একটি ছেলের বন্ধুত্ব হয়। কয়েক দিন আগে ওই বন্ধুর সঙ্গে তার ঘোরাঘুরির কিছু ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবক হিসেবেই তানজুর কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে তার মামার কাছে দিয়েছিলাম। তাকে বকা দিইনি। কিন্তু একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া বলেন, ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।