ফেসবুকে পরিচয় “অতপর প্রেমের টানে লক্ষ্মীপুরে ছুটে আসলেন ইন্দোনেশিয়ার তরুনী

রায়পুর

দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
ফেসবুকে পরিচয় তারপর প্রেম, এবার সেই প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া নামে এক ইন্দোনেশিয়ান তরুণী।

সোমবার বিকালে ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে নামে সে। সেখান থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামে রাসেল আহমদের কাছে আসেন।

ফানিয়া ইন্দোনেশিয়ার দিপক এলাকার পাউদি হেলমি ও ফিসুনয়াদি ইসনা ওয়াপি দম্পতির মেয়ে। তিনি সেখানে একটি কল সেন্টারে চাকরি করেন। রাসেল আহমেদ রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের মো. মনির হোসেনের ছেলে, তিনি পেশায় একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।

জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে ফেইসবুকের মাধ্যমে ফানিয়ার সঙ্গে রাসেলের পরিচয়, বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা। এক পর্যায়ে তা অদেখার দূরত্ব ঘুচিয়ে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়।

রাসেল জানান, চার বছর প্রেম করার পর বিয়ের জন্য সূদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে পাড়ি জমান ফানিয়া। ভবিষ্যতে স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছা আছে তার, তবে আপাতত নয়। দুই মাসের ছুটি নিয়ে এসেছেন ফানিয়া। ছুটি শেষে চলে যেতে হবে আবার ইন্দোনেশিয়ায়। তবে এক সময় ফানিয়াকে নিয়ে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাস করতে চান তিনি। ফানিয়াও বাংলাদেশে থাকার ব্যাপারে আগ্রহী।

মঙ্গলবার সকালে রায়পুরের রাখালিয়া গ্রামে রাসেল আহমেদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় রাসেলের পরিবারের সাথে গল্প করছেন ফানিয়া। তিনি জানান, তিনি রাসেলের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি তার সাথে বিবাহে আবদ্ধ হতে চান। বিষয়টি তিনি তার মা-বাবকে জানিয়েই এসেছেন। তিনি এদেশের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ। ফানিয়া বাংলা বুজতে পারেন তবে বলতে পারেন না আস্তে আস্তে বাংলা শেখার চেষ্টা করছেন তিনি।

রাসেল আহমেদের মা বিলকিস বেগম জানান, এখানে আসার পর থেকে পরিবারের সবার সঙ্গে খুব মিশে চলছে ফানিয়া। সবাইকে আপন করে নিয়েছে।

এছাড়াও ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। আশেপাশের মানুষ ভীড় করছে বিদেশী নতুন বৌকে দেখার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *