দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে চুরি করতে গিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ চেষ্টা এবং টাকা-স্বর্ণালংকার লুটে নেয়ার মামলায় এক আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার রাতে চরবংশী গ্রাম থেকে আসামি রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে আসামি দিদার সরদার ও মনির হোসেন তাদের এক স্বজনের মাধ্যমে প্রস্তাব দেয়, চুরি করা টাকা ও স্বর্ণ ফেরত দেবে, যদি ওই গৃহবধূ তাদেরকে বিয়ে করেন। বৃহস্পতিবার সকালে মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে এই কথা জানান ওই ভুক্তভোগী গৃহবধূ।এ
ঘটনা ও মামলার পর থেকে ওই গৃহবধূ বিচার তো পাননি, উল্টো দক্ষিণ চরবংশীর ইউপি সদস্য আবুল হোসেন এবং অভিযুক্তরা এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তবে এ হুমকির বিষয়ে ইউপি সদস্য অস্বীকার করেছেন। অভিযুক্তরা ৪ জন পলাতক থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
শনিবার (১ জুন)) রাত ২টার সময়ে রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটেছে।
প্রবাসীর স্ত্রী জানান, প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। এ অবস্থায় তার ঘরের সামনের দরজা দিয়ে সিঁদ কেটে প্রবেশ করে একই গ্রামের জালাল সর্দারের ছেলে দিদার সর্দার, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেন, বোরহানের ছেলে মো. রাসেল, হোসেন আলীর ছেলে হেলাল। এ সময় তারা চারজন হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে। ঘরে থাকা ইউপি সদস্য আবুল হোসেনের কাছ থেকেই কেনা ৩০ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আলমারিতে রাখা আড়াই লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয় তারা। এ সময় চোর দিদার সর্দার চলে যাওয়ার সময় তার মোবাইল রেখে গৃহবধূর মোবাইল নিয়ে যায়। তখনই চোরদের শনাক্ত করা হয়েছে।
রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুখ মজুমদার জানান, প্রবাসীর স্ত্রী ধর্ষণ চেষ্টা, টাকা ও স্বর্ণ লুটের মামলায় রাসেলকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি চার আসামিকে গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।