দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভা
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ বলছেন, রুহানি হুজুর এবং পলিটিক্যাল হুজুরদের চিহ্নিত করতে হবে। প্রত্যেকটি ঘটনাতেই পলিটিক্যাল হুজুরদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, আপনাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর ভয়ের কোনো কারণ নেই। রাষ্ট্র, আইন ও জনগণ আপনাদের পাশে আছে। আপনারা মামলা করুন, অবশ্যই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন শেষে প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ব্রাহ্মনবাড়িয়া শহরে ৩২ লাখ লোক বসবাস করে। তারা তাদের সন্তানদের দিনে শিক্ষা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসা করেছে। ওই মাদ্রাসাগুলোতে ১৩ হাজার ছাত্র লেখাপড়া করছে। তাদের প্রতিদিন এক কোটি টাকা খরচ হয়। এ টাকার যোগান ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর। কিন্তু এখন আপনাদের চিন্তা করতে হবে আপনাদের ভূমি অফিস ও রেকর্ড রুম আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ক্ষতি আগামী ৫০ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে বহন করতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত সাংবাদিকের দেখতে গিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, ইসলামী শিক্ষার নামে আমাদের আলেম সমাজ এখন দুই ভাগে বিভক্ত। এক রুহানি হুজুর, আধ্যাত্মিক শক্তি সম্পন্ন। অপরটি রাজনৈতিক। আমাদের এদের চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক আলেম কারা কারা তাদের বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে হবে। একইসঙ্গে সেদিনের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে থাকবে তার সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে সরবরাহ করলেও যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের সহজেই আইনের আওতায় আনা যাবে। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা চান।
আইজিপি বলেন, আপনারা মনে রাখবেন শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী নয়, সমগ্র বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষ আপনাদের সঙ্গে আছে। আর যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করছে তাদের যে কোনো মূল্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিহত করবে।
এসময় র্যা বের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, এসবির প্রধান মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, পুলিশের ডিআইজি অপারেশনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।