দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
দিঘলী ইউনিয়নে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি ইউপি নির্বাচনের। নির্বাচনকে ঘিরে জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার দিঘলী ইউনিয়নে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোড়া মার্কা নিয়ে আলতাফ হোসেন নিয়মিত গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। নিজের অবস্থান সুসংহত করতে আলতাফ হোসেন প্রতিদিন গণসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠকসহ নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গণসংযোগকালে তিনি বলেন, আমাদের শ্লোগান এবারের ভোট হোক পরিবর্তনের পক্ষে, এবারের ভোট হোক ইউনিয়ন বাসির অধিকার আদায়ের পক্ষে।’ একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের কাছে ঘোড়া মার্কায় ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।
নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ইতিমধ্যেই ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের যুবসমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাক্তিগত ইমেজ তৈরি করে তুলেছেন তিনি। নির্বাচনী মাঠে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী হিসাবে সাড়া জাগানো আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন আলতাফ হোসেন । এবারের নির্বাচনে বাড়ি, পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার ও রাজনৈতিক কার্যালয়গুলোতে তার নামই সর্বাধিক আলোচনায় উঠে এসেছে। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলতাফ হোসেন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ‘ইউনিয়নকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ’। একজন পরিচ্ছ্ন্ন সাদা মনের মানুষ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে দেখা গেছে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে একজন শিক্ষিত ও সৎ প্রার্থী হিসেবে আলতাফ হোসেন সাধারন মানুষের মাঝে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন।
স্থানীয় দিঘলী বাজারে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত একাধিক সাধারন মানুষ ও নতুন ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ইউপি নির্বাচনের আর কয়েকদিন বাকি আছে এই সময়ের মাঝেই সকল প্রার্থীরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন। যদি সুন্দর সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নিবার্চন অনুষ্টিত হয় তাহলে আলতাফ হোসেনের বিপুল ভোটে জয় লাব করবে কারণ তিনি অন্যদের চাইতে যোগ্য, সৎ ও অবিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং সব সময় অসহায় গরিব সাধারন জনগনের বিপদে-পাশে থাকার চেষ্টা করেন ।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন বলেন, চন্দ্রগঞ্জ থানার ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে দিঘলী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ এখনো তাদের সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে। শিক্ষা ও যাতায়াত ব্যবস্থায় রয়েছে অনেকটা পিছিয়ে। আমি জয়ী হলে সবার আগে কাজ হবে এই ইউনিয়নের মানুষের নিত্যদিনের যাবতীয় সমস্যা লাঘবে কাজ করা এবং তাদের ন্যায্য অধিকারকে তাদের ফিরিয়ে দিতে কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাধারন জনগনের ভোটে নির্বাচিত একাধিক চেয়ানম্যানগন তাদের দীর্ঘ দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বিভিন্ন রকম অনিয়মের কারনেই এখন জনগন থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে তারা। অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ে অনেকটা অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত রয়েছেন আমাদের ইউনিয়নের জনগন। আমি নির্বাচিত হলে এই এলাকার মানুষকে সাথে নিয়ে আমাদের ইউনিয়নকে বানাবো একটি আধুনিক ইউনিয়ন।
তিনি নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে বলেন, এখন পর্যন্ত পদে পদে আমি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি এবং কি আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছি। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে আমি এবং আমার কর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন সব সময় যথেষ্ট তৎপর আছে। এবং তিনি তার ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনাদের কোন ভয় নাই আপনার যথাসময় কেন্দ্র এসে আপনাদের মূল্যবান ভোট প্রধাণ করবেন।
ইউনিয়নবাসীর উদেশ্য তিনি বলেন, আমার সবার কাছে অনুরোধ প্রিয় দিঘলী ইউনিয়নবাসী অনুগ্রহ করে আপনারা আপনাদের মূল্যবান ভোটটি নষ্ট করবেন না, সুস্থ মস্তিষ্কে আপনেরা ভোট দিবেন, আপনারা যদি ভুল সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে এই ইউনিয়ন বাসী আবারও ৫ টি বছরের জন্য উন্নয়ন ও তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।আমি কথা দিচ্ছি যদি আপনেরা আমাকে জয়ী করেন, বিপদে আপদের সময় আপনাদের পাশে আগেও যেমন ছিলাম, এখনো তেমন করেই পাবেন।
সাহাদাত হোসেন (দিপু) ঃ-