দিগন্ত ডেস্ক ঃ
‘কথিত’ চাঁদাবাজির অভিযোগে কদিন আগেই সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত এক যুবলীগ নেতার পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ কয়েকজন যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
শুধু তাই-ই নয় তার মাথা ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক কোপানের কারণে আশংকাজনকভাবে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাতেই চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত নাসির রাঙামাটি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তবে হামলার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন।
গুরুতর আহত নাসির জানিয়েছেন, সোমবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে শহরের হ্যাপির মোড় থেকে নিউ কোর্ট বিল্ডিংয়ের দিকে যাওয়ার সময় যুবলীগ নেতা ও ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আরিফ তাকে পুরনো বিবাদ ভুলে সমঝোতার প্রস্তাব দেয় এবং শহরের আলোচিত প্রত্যাশা ক্লাবের দিকে ডেকে নেয়। সেখানে যাওয়া মাত্রই আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুজনসহ কয়েকজন তাকে কিরিচ চাপাতি দিয়ে কোপানো শুরু করে। একপর্যায়ে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে কে বা কারা আমাকে হাসপাতালে রেখে গেছে আমি জানি না।’
নাসির আরো অভিযোগ করেছেন, জ্ঞান হারানোর আগে সে হামলাকারীদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন, জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক মিজান, যুবলীগ ৭নং ওয়ার্ড কমিটির সেক্রেটারি আরিফকে চিনতে পেরেছেন। এ সময় আরো অন্তত ১০/১৫ জন ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।’
হাসপাতালে উপস্থিত এক নারী প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমি হাসপাতালের সামনে ছিলাম, নিজের রোগী নিয়ে। হঠাৎ একটি সিএনজি এসে থামে এবং বেপরোয়া হর্ণ দেওয়া শুরু করে। আমি এগিয়ে গিয়ে দেখি আমার বোনের জামাই নাসির কাতরাচ্ছে এবং আমাকে বাঁচাও, বাঁচান আহাজারি করছে। আমি আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে ঢুকাই।’
কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহিদুল হক রনি জানিয়েছেন, নাসিরের পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে এবং মাথায়ও ধারাল কিছু দিয়ে কোপানোর চিহ্ন আছে। আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি, দলীয় কোন্দলের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’