সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-
নেই রেশন কার্ড, টানা লকডাউনে মিলছে না ত্রাণ সামগ্রীও। ফলে কার্যত অনাহারে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছিলেন লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার দিঘলী ইউনিয়নের অনেক নিম্ন ও মধ্যেবিত্ত অসহায় পরিবার!
এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল দেশবিদেশ সহ অনেক জায়গায়। অনকের অভিযোগ ছিল, একাধিকবার অসহায় পরিস্থিতির কথা জানালেও সাহায্যের হাত বাড়ায়নি কেউ । এই খবর পাওয়া মাত্রই দিঘলী ইউনিয়নের কৃতি সন্তান, দেড়ি বাড়ির সুনামধন্য পিতা জামাল উদ্দিনের ( ম্যানেজার জনতা ব্যাংক) ছেলে মানবতার সেবক সৌদি প্রবাসী মুরাদ হোসেন ইমন, এই সংকটময় মুহূর্তে, নিজের উদ্যোগে প্রায় দেড় শতাধিক অসহায় পরিবারের ১ মাসের খাদ্যসামগ্রী বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
মুরাদ হোসেন ইমনের উপহার সামগ্রী পাওয়া একজন অসহায় ব্যাক্তি বলেন, সাহায্যের জন্য অনেকের কাছে গেছি কিন্তু কেউ কিছুই দিলো না, কিন্তু মুরাদ বিদেশ থেকে আমাদের জন্য খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছে। মুরাদ আমাদের এলাকার গর্ব, আল্লাহ মুরাদের এই দানকে যেন কবুল করেন। একই এলাকার নাজিম ও ইমরান বলেন মুরাদ সবসময় যতটুকু সম্ভব দিঘলী ইউনিয়নের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কেউ কোন সমস্যায় থাকলে মুরাদ চেষ্টা করে তার সাধ্য অনুযায়ী ঐ ব্যাক্তিকে সহযোগিতা করতে।
মুরাদ দিগন্তের আলোকে বলেন দেশ থেকে আমার অনেক ভাই, বন্ধু আমাকে জানান দিঘলী ইউনিয়নের অনেক এলাকায় মধ্যেবিত্ত, ও অসহায়, পরিবারের অনেক মানুষ খুব কষ্টে আছে। না খেয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে বহু পরিবার।
এই মধ্যেবিত্ত পরিবারগুলো মান-মর্যাদার ভয়ে কাউকে বলতেও পারছে না, টানা লকডাউনে ফুরিয়েছে অর্থ। অনেকে শূন্য হতেই বাধ্য হয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছিলেন । কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। তাই আমি চেষ্টা করেছি আমার সাধ্য অনুযায়ী এই পরিবারের মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে, আমার সামান্য উপহার যদি কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটে, তখন আমি নিজেকে এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে করবো।