দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট। ২০২০ এর মার্চ থেকে ১৯ মাস কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই খেলা হয়নি টাইগারদের। অবশেষে এই বছর জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে সিরিজে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ করেই যাত্রা শুরু করে তামিম ইকবালের দল। এরপর অবশ্য ক্রিকেটের তিন ফরমেটে মিলেছে ১০ ম্যাচে ৯ হার আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক টেস্টে ড্র। তবে আবারো ঘুরে দাঁড়িয়েছে দল। শ্রীঙ্কার বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। আর আজ তৃতীয় ম্যাচে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। গতকাল দলের সিনিয়র ক্রিকেটার ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমদুল্লাহ রিয়াদের কণ্ঠেও ছিল তা স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই তিন-শূন্য টার্গেট।’ এখন পর্যন্ত ৭৬ ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে ২৭টিতে জয় দেখেছে বাংলাদেশ।
সেখানে সবমিলিয়ে ১৪ দলকে হোয়াটওয়াশ করেছে। যার মধ্যে ১১টিই দেশের মাটিতে। আজ মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে দুুপুর একটায় মুখোমুখি হবে দুই দল। শেষ ম্যাচে জিতলে ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লীগে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে আরো এক থাপ। জিতলেই মিলবে আরো ১০ পয়েন্ট। অন্যদিকে সুপার লীগের পয়েন্ট তালিকায় লঙ্কানরা -২ পয়েন্ট নিয়ে এখনতালিকার তলানিতে। তাই সফরকারীরাও ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই জয়ে ব্যাট হাতে বড় অবদান দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের। প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক তামিম, মাহমুুল্লাহ ও মুশফিকুর রহীমের হাত ধরে জয় পায় বাংলাদেশ। পরের ম্যাচেও মুশফিকের সেঞ্চুরি জয়ে বড় ভূমিকা রাখে। কিন্তু তরুণ ব্যাটসম্যান লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতরা ব্যর্থ। এছাড়াও অনেক দিন পর দলে ফেরা সাকিব আল হাসানের মতো সেরা ক্রিকেটারও অবদান রাখতে পারছেন না ব্যাট হাতে। এ বিষয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘আমার মনে হয় ওভার অল ব্যাটিং-বোলিং হোক আমরা সেরা ক্রিকেটটা এখনো খেলতে পারিনি। আমাদের নিজেদের মধ্যে কথা হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে টপ অর্ডারের কলাপস বা মিডল অর্ডার লেট মিডল অর্ডার, স্লগ ওভারে রান তুলতে পারিনি। আমার মনে হয় আমাদের আরো ভালো পারফর্ম করা উচিত।’ টানা ব্যর্থ লিটনের পরিবর্তে আজ একাদশে আসতে পারেন সৌম্য সরকার অথবা তরুণ ওপেনার নাঈম শেখ। আর দলের সেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে নিয়ে মাহমুদুল্লাহও বেশ আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ‘সাকিবকে নিয়ে বলার কিছু নাই। হি নোজ হিজ গেম। ও জানে কখন কি করা প্রয়োজন। একটা ছেলে ১০-১২ বছর ধরে নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার হয়ে আছে এটা চাট্টিখানি কথা নয়। ও জানে ওর ব্যাটিং কখন করা প্রয়োজন, কখন কতটুকু ব্যাটিং করলে ওর জন্য ভালো হবে। আমি নিশ্চিত ও কালকের (আজ) ম্যাচে ভালো ইনিংস খেলবে।’
সেরা ফিটনেসে আছেন রিয়াদ
প্রায় ৩৬ বছর বয়সে জাতীয় দলে খেলছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার ফিটনেস নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। তবে তার দাবি তিনি এখন ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মেই আছেন। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! মনে হয় যে ক্যারিয়ারের সেরা ফিটনেস লেভেলে আমি আছি। এটা নিয়ে গত দুই তিন বছর ধরে আমি কাজ করছি। ফিট থাকার চেষ্টা করছি, রানিং হোক, জিম হোক, এক্সট্রা রানিং, এক্সট্রা জিম… ব্যালেন্সিং কাজ আমার অনেক বেশি করা লাগে, মেনটেন্যান্স কাজ করা লাগে। তো এই জিনিসগুলো আমি করার চেষ্ট করি। আমি বোলিংয়ে ফিরেছি। এখন যখনই দলের প্রয়োজন পড়বে আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো।’