জোরপূর্বক জমি দখল “ছেড়ে দিতে বলায় দুই সহোদরকে মারধর “

অপরাদ রামগঞ্জ

দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জোরপূর্বক দখল করা জমি ছেড়ে দিতে বলায় হুমায়ুন কবীর আনোয়ার ও রুহুল আমিন নামে দুই সহোদরকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের উত্তর পাটওয়ারী বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আজ দুপুরে ভুক্তভোগী সৌদি প্রবাসী হুমায়ুন কবীর বাদি হয়ে রামগঞ্জ থানায় নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল আমিন ও তার ভাই সেফায়েত উল্যাহর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আহত হুমায়ুন কবির ও রুহুল আমিন আশারকোটা গ্রামের উত্তর পাটওয়ারী বাড়ির মৃত অজি উল্যাহর ছেলে। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরুল আমিন ও সেফায়েত উল্যাহ একই বাড়ির মৃত সিদ্দিক উল্যাহর ছেলে।

আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হুমায়ুনদের জমি দীর্ঘদিন ধরে সেফায়েত দখল করে দোকান পরিচালনা করে আসছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে হুমায়ুন বাড়ি থেকে বের হয়ে সেফায়েতকে জমিটি ছেড়ে দিতে বলে। এরপর বাড়ি ফেরার সময় সকাল ১০টার দিকে হুমায়ুনকে লাঠি দিয়ে পেটান সেফায়েত। এ সময় বাধা দিতে গেলে হুমায়ুনের ভাই রুহুল আমিনকেও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায় সেফায়েত। ঘটনার সময় সেফায়েতের ভাই ইউপি সদস্য নুরুল আমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ভাইকে না থামিয়ে তিনি হুমায়ুন কবীরকে সরিয়ে দেন।

ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির বলেন, জমিটা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। সেফায়েত জোরপূর্বক দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করেছে। জমিটি ছেড়ে দিতে বলায় সেফায়েত ও তার ভাই নুরুল আমিন আমাদের ওপর হামলা করে। আমাদেরকে পিটিয়ে আহত করে। আমি প্রবাসী। কিন্তু ইউপি সদস্য আমাকে জোরপূর্বক দোকানে ঢুকিয়ে বলে দোকানদারী করতে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

ভুক্তভোগী রুহুল আমিন বলেন, হুমায়ুনের জমি সেফায়েত দখল করে রেখেছে। ওই জমি ছেড়ে দিতে বললেই সেফায়েত ও নুরুল আমিন আমাদের মারধর করে জখম করেছে।

অভিযুক্ত সেফায়েত উল্যাহ বলেন, জমিটি আমার স্ত্রীর। এ জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। হুমায়ুন আজ সকালে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোকান খালি করে জমি ছেড়ে দিতে বলে। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আমি লাঠি দিয়ে একটি আঘাত করেছি। দোকান ছেড়ে দিতে বলায় রুহুল আমিনকে দোকানদারী করতে বলে আমার ভাই নুরুল আমিন। এখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

ইউপি সদস্য নুরুল আমিন বলেন, মারধর নয়, কথা-কাটাকাটি হয়েছে। এরমধ্যে কেউ কাউকে কিল-ঘুষি মেরেছে কি না আমি দেখিনি। আমার ভাইয়ের সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ঘটনার সময় তারা আমার ভাইকে হুমকি-ধমকি দেয়। আমি বিরোধ থামানোর চেষ্টা করলেও কেউ আমার কথা মানেনি।

এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ভুক্তভোগী প্রবাসী হুমায়ুন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *