জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইয়ের বাড়িতে ভাইয়ের হামলা

অপরাদ চন্দ্রগঞ্জ

দিগন্তের আলো ডেস্ক :-

লক্ষ্মীপুরে জমি দখলে নিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণে বাঁধা দেওয়ায় নুরুল আমিন খোকন (৭০) নামে এক প্রবাস ফেরত বৃদ্ধের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তার ছোট ভাই শাহ আলমের বিরুদ্ধে।

ঘটনার সময় বড় ভাই খোকনের বাড়িতে ইটপাটকেল ছুঁড়ে দরজা-জানালা ভাঙচুর করা হয়। এতে ভয়ে তিনি পরিবার নিয়ে ঘরবন্দি হয়ে থাকছেন। আতঙ্কে রয়েছে পরিবারের সদস্যরা।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবার এ অভিযোগ করেন। এর আগে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রামে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ভূক্তভোগী পরিবার জানায়, ৫ আগস্টের পর থেকে খোকনের জমি দখলে নিতে তার ছোট ভাই বিএনপি নেতা শাহ আলম বিভিন্নভাবে পাঁয়তারা করে আসছে। সম্প্রতি এক রাতে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে শাহ আলমের লোকজন। পরে সেখানে একটি টিনসেট ঘরও জোরপূর্বক নির্মাণ করে তারা। শুক্রবার ফের ওই জমি থেকে মাটি কাটা ও আরেকটি ঘর নির্মাণ করতে গেলে খোকনরা তাদেরকে বাঁধা দেয়। এতে শাহ আলমসহ তার অপর ভাই শাহ জামাল বাচ্চু লোকজন নিয়ে খোকনদের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে তার বাসার দরজায়-জানালায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে। পরিবারের সদস্যদের ঘরের ভেতরে জিম্মি করে রাখা হয়। পরে ৯৯৯-এ কল দিলে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নুরুল আমিন খোকন বলেন, জোরপূর্বক শাহ আলম ও বাচ্চু আমার জমিতে ঘর নির্মাণ করছে। বাঁধা দেওয়ায় আমার ওপর হামলা করা হয়। পরিবার নিয়ে আমি আতঙ্কে আছি।

খোকনের মেয়ে কুলসুম আক্তার বলেন, আমার চাচাদের নেতৃত্বে আমাদের ঘরে হামলা চালানো হয়েছে। এখনো পুনরায় হামলার আতঙ্কে আছি। ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছি না।

অভিযোগ অস্বীকার করে শাহ আলম বলেন, আমার শ্রমিকদের ওপর খোকনের দুই মেয়ে মরিচের পানি ছোঁড়ে। খবর পেয়ে আমি গিয়ে তাদের রেখে দেওয়া ওই পানি তাদেরকে ছুঁড়ে মারি। তারা আমার এক শ্রমিকের হাতের আঙ্গুল ভেঙেছে। খোকনের ঘরে হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা সত্য নয়।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বলেন, খোকনদের জিম্মি করে রাখার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি নিয়ে উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে। বৈঠক শেষে এ বাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *