দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে প্রাইভেট শেষে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার অজুহাতে পার্শ্ববর্তী বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুস সবুর (৩০) নামের এক প্রাইভেট শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ প্রদান করেছেন আদালত। সেইসাথে এক লক্ষ টাকা অর্থদ-ও দেয়া হয়।
মামলা দায়েরের আট বছর পর আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে সবুরকে কাঠগড়া থেকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত সবুর কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার উত্তর পান্ডুল গ্রামের আব্দুর নূরের ছেলে। তিনি ভিকটিমকে নিয়মিত প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে ২০১৩ সালের ১৯ মে রাতে কৌশলে একটি বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। সে রাতে ওই ছাত্রী তার অভিভাবককে কিছু না বললেও পরের দিন অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
পরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সবুরকে আসামি করে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দীর্ঘ আট বছর পর মঙ্গলবার বিকেলে সবুরকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও এক লক্ষ টাকা অর্থদ- প্রদান করা হয়।
মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুর রাজ্জাক এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এটিএম এনামুল হক চৌধুরী চাঁদ। এ ব্যাপারে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।