দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মো. জোবায়ের হোসেন নামে এক শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে গৃহবধূকে (২২) জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শাহাদাত নামে আরেক যুবক জোবায়েরকে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রামগতি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জানিয়েছেন, উপজেলার চর সেকান্দর গ্রামের এ ধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা বলেন, গত ২০ জানুয়ারি উপজেলার চর সেকান্দর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে শাহাদাত আমার মেয়ের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে শাহাদাত তাকে জোবায়েরের হাতে তুলে দেয়। পরে জোবায়ের তার ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে আমার মেয়ের সর্বনাশ করে। এ সময় শাহাদাত পাহারারত অবস্থায় ছিল। আমার তার মেয়ের এক বছর আগে বিয়ে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি চট্টগ্রামে বাসাবাড়িতে কাজ করি। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে আমি গ্রামের বাড়িতে এসে বিষয়টি জানতে পেরেছি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত ২০ জানুয়ারি দুপুরে গৃহবধূ শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শাহাদাত তার গতিরোধ করে হাত ধরে ফেলে। পরে শাহাদাত তাকে জোরপূর্বক জোবায়েরের হাতে তুলে দেয়। শাহাদাতকে পাহারায় রেখে জোবায়ের তাকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে জানালে গৃহবধূকে হত্যা করার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা।
অভিযুক্ত জোবায়ের রামগতি উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব ও চর আলগী ইউনিয়নের চর সেকান্তর গ্রামের মৃত খুরশিদ মাওলানার ছেলে। শাহাদাত একই এলাকার সাহাবুদ্দিনের ছেলে।
এদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রমিক লীগ নেতা জোবায়ের হোসেন বলেন, এলাকার শাহাদাত ও সোহাগ আমার অফিসের পেছনে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই। পুলিশ শনিবার রাতে এসে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউছুফ পাটওয়ারী বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কেউ আমাদের কাছে অভিযোগও করেনি।
রামগতি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ওই গৃহবধূকে দেখে কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মনে হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার কার্যক্রম শেষ করেই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।