দিগন্তের আলো ডেস্ক :
এবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোল নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক কাজ রয়েছে। দেশের কাজ, দলের কাজ। এসব রেখে একজন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বারবার প্রশ্নের জবাব দেবো- সেই সময় আমার হাতে নেই।’
এসময় তিনি খালেদা জিয়ার প্যারোল কিংবা মুক্তি ইস্যুতে আদালতের আদেশের জন্য সাংবাদিকদের অপেক্ষা করতে বলেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিশেষ সভার শুরুতেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এ নিয়ে আর প্রশ্ন করবেন না। তিনি আদালতে জামিন আবেদন করেছেন, আদালতই বিষয়টি দেখবেন। আবারও বলছি, এটা কোনও রাজনৈতিক মামলা নয়- এটা দুর্নীতির মামলা।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার বিষয়ে আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই হবে। এটা আওয়ামী লীগের হাতে নেই, শেখ হাসিনার হাতেও নেই। আমাদের কারও হাতেই নেই, আমাদের কোনও এখতিয়ারও নেই। কাজেই বারবার একই প্রশ্ন করে বিব্রত করবেন না। আমি আর এই ধরনের প্রশ্নের জবাব দেবো না।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শাজাহান খান, আবদুর রহমান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিভাগীয় বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরমধ্যে তাঁর সাজাভোগের দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গেল বছরের ১ এপ্রিল কারা হেফাজতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিএসএমএমইউ হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়ে তাঁর স্বজনরা সাংবাদিকদের জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য তারা বেগম জিয়াকে বিদেশে নিতে চান। এজন্য প্যারোলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলে তাদের কোনও আপত্তি থাকবে না। যদিও বেগম জিয়ার প্যারোল নিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতারা দ্বিধাবিভক্ত।
এদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তাঁর আইনজীবীরা। আবেদনের শুনানির জন্য আগামী রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।