দিগন্তের আলো ডেস্ক :
করোনাভাইরাস মহামারীর এই কঠিন সময়েও শরতের বাতাসে বেজে চলেছে মায়ের আগমনী সুর। কাশফুল আর শিউলি ফোটা শরতের প্রথম থেকেই দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয় মন্দির ও মন্ডপগুলোতে। এ বছর লক্ষ্মীপুরে ৭৮টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। গেলোবছরের চেয়ে নতুন করে আরও ২টি পূজামন্ডপ বেড়েছে।
পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণরোধে শারদীয় দুর্গাপূজায় এবারের আয়োজনেও সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তমতে ১৮টি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, প্রতিমা নির্মাণসহ সাত্তিক পরিবেশ নিশ্চিত করা ও প্রতিমা নিরঞ্জনে শোভাযাত্রা পরিহার করে লক্ষ্মীপুরে ৭৬টি পূজামন্ডপে এবার শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদরে ১৭ টি, চন্দ্রগঞ্জে ১৫টি, রায়পুরে ১২টি, রামগঞ্জে ১৯টি, রামগতিতে ১২টি ও কমলনগর উপজেলার ৩টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া নতুন পূজামন্ডপ হলো, রামগতির চর মেহার সাহাপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ সেবাশ্রম মন্ডপ ও রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়নের সার্বজনীন পূজামন্ডপ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এই দুর্গাপূজার প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে দেবী দুর্গার প্রতিমা। আর তাই দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। পূজা শুরুর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মা দুর্গাকে তুলতে হবে মন্ডপে। সেজন্য মৃৎশিল্পীরা রাত-দিন একাকার করে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। এখন প্রতিমার কাঠামোর মাটির কাজ চলছে। এরপর শুরু হবে রং ও সাজসজ্জা।
লক্ষ্মীপুরের শ্যামসুন্দর জিউর আখড়া, শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালী বাড়ির মন্দির, শাখাড়ীপাড়া ও সমসেরাবাদ এলাকার মন্দিরে প্রতি বছরই জাঁকজমক করে উদযাপিত হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। এবারো পূর্ণোদ্যমে চলছে প্রস্তুতি।