সাহাদাত হোসেন (দিপু)
অসহায় মানুষের জন্য যদি না কাঁদে তোমার মন কিসের মানুষ তুমি, তুমি সমাজের নিষ্প্রয়োজন, এমনই স্লোগান নিয়ে করোনাভাইরাসের শুরু থেকে লক্ষীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (জেলার শ্রেষ্ট ওসি) জসিম উদ্দীন নিজের সমর্থ অনুযায়ী নানা সামাজিক কাজে নিজেকে উন্মুক্ত রাখতে প্রস্তুত থেকেছেন সব সময়। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার বিকেলে ব্যক্তিগত সামর্থ অনুযায়ী চাল, ডাল, চিনি, সেমাইসহ রমযান ও ঈদের খাদ্যসামগ্রী সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী সবুজের বাড়িতে পৌছে দিলেন। এসময় প্রতিবন্ধী সবুজের সার্বিক অবস্থার খোজ খবর নিলেন তিনি। এদিকে ওসি জসিম উদিনের এমন মানবতার কাজে প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশ প্রশাসন। প্রতিবন্ধী সবুজ বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামের আলী মিয়া বাড়ির অসহায় আবদুল মান্নান এর ছেলে। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও কর্মহীন হওয়ায় পরিবার নিয়ে চরম দুর্দশায় চলছিলো জীবন।
অপরদিকে গতকাল সোমবার আমিরন নেছা নামে অসুস্থ এক নারীকে তার চিকিৎসার জন্য নগদ ১০,০০০/= (দশ হাজার টাকা) প্রধান করেন।
এসময় মানবিক ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, একজনের ফেইসবুক আইডির মাধ্যমে জানতে পারি এক অসহায় ও অসুস্থ নারী তার হার্ডে ২টি রিং বসাতে হবে কিন্তু এতে ব্যয় বহুল খরচ। এত খরচ বহন করা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। যার কারণে ওই নারী দিনদিন টাকার জন্য চিকিৎসা নিতে না পারায় আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে, শুনে আমি আমার বেতন থেকে তার চিকিৎসা খরচের জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করি।
ধারাবাহিকভাবে এমন মানবিক কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি জসিম উদ্দিন দিগন্তের আলোকে বলেন মানুষ সামাজিক জীব তাই সবাইকে সমাজিক কাজে সমাজের মানুষের জন্য ভালো কিছু করে যেতে হবে। এভাবেই মানুষ তার জীবনের পূর্ণতা পায়। ‘সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে করোনার আগ্রাসনে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছেন সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষেরা। এমতঅবস্থায় লক্ষীপুর জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় পুরো জেলা ও থানার বিভিন্ন এলাকার কর্মহীন ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য রাতদিন নিজের সর্বস্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, স্যারের নির্দেশে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সামান্য প্রয়াস মাএ। স্ব স্ব এলাকায় যার যার হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসতে আমি সামর্থবানদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।’