এবার গরুর মূল্য নিয়ে চিন্তায় লক্ষীপুরের খামারিরা

লক্ষ্মীপুর

সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-
লক্ষীপুরে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে খামারিরা। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ব্যাপারীদের কাছে ও বিভিন্ন বাজারে গরু বিক্রির জন্য নেয়া হবে।

মহামারী করোনাভাইরাসের মধ্যে গরুর দাম ঠিকমত পাওয়া যাবে কি-না তা নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন লক্ষীপুর জেলার চোট বড়ো প্রায় সকল খামারিরা।

এর মধ্যে বাজারে ভারতীয় গরুর আমদানি হবে কি-না এমন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারিরা।

সরেজমিনে কয়েটি খামারে গিয়ে দেখা যায়, গমের ভূষি, খৈল, খড়, কাচা ঘাসসহ অন্যান্য খাবার খাওয়ানো হচ্ছে গরুকে। কেউ খড় কাটছেন কেউবা গরু পরিষ্কার করছেন পানি দিয়ে। এভাবেই দেশীয় পদ্ধতিতে চলছে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের খামারিদের গরু মোটাতাজাকরণের কাজ। সকলেরই লক্ষ্য আসন্ন কোরবানির ঈদে ভালো দামে গরু বিক্রি করা। কিন্তু করোনা কারণে গো-খাবারের দাম বেশী হওয়ায় খরচও হচ্ছে বেশী। আর ঈদ ঘনিয়ে আসলেও খুব একটা দেখা মিলছে না ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বাইরের গরুর ব্যাপারীর।

করোনা কারণে স্থানীয় বাজারও হাট বন্ধ থাকায় নেই তেমন গরুর দামও। অন্যদিকে শেষ মুহূর্তে বাজারে আসবে ভারতীয় গরু এমন শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।

ব্যাপারী মতিন জানান, এ জেলার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে খামারিরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় গরু রপ্তানি করে থাকেন। যার কারণে গত বছরের তুলনায় গরুর দাম কম, তবে সীমান্ত দিয়ে গরু আসা বন্ধ হলে তারা লাভ করতে পারবেন বলে জানান।

এদিকে খামারি কামাল হোসেন জানান, করোনা আতংকে গরু কিনতে বাইরের খরিদ্দার তেমন আসছে না। যদি ভারতীয় গরু বাজারে আসে তাহলে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে। ঠিকমত দাম নিয়ে সংশয় আছি কি হবে ?

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, এবারে গরুর গো-খাদ্যর দাম বেশি। খামারিদের এখন কিছুটা লোকসান হলেও তারা ভালো দাম পাবেন। দেশীয় গরুই দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে তাই প্রতিবেশী দেশ থেকে গরু আমদানির প্রয়োজন নেই। এ জেলায় প্রচুর খামারি তাদের গরু বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।

লক্ষীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডঃ মোহম্মদ আইয়ুব মিয়া দিগন্তের আলোকে বলেন, আমাদের পালিত গরুই চাহিদা পূরণ করতে পারবে, ফলে আসন্ন কোরবানির ঈদে লক্ষীপুর জেলার বাইরের গরু আমদানির প্রয়োজন নেই ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *