দিগন্তের আলো ডেস্ক
গেল দুই মাস আগেও যেখানে ছিল শিশুদের আনাগোনায় ভরপুর। খেলার সামগ্রীগুলো উপভোগের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট নিতে হতো। শিশুদের সাথে অভিভাবকদেরও গাদাগাদি ছিল পার্কটিতে। এটিই একমাত্র লক্ষ্মীপুরের বিনোদন কেন্দ্র। এজন্য সব শ্রেণী পেশার মানুষরা আসতো এখানে। প্রতিদিনের বিকেলটা কোলাহলে কাটতো পার্ক এলাকা। পার্কের সামনে একদিকে রিক্সার যানজট অন্যদিকে টিকেট কাউন্টারে মানুষের সারি যেন হৈ- হুল্লোড়ে থাকতো।
সেই শিশু পার্ক এখন নিস্তব্ধ। কোথাও কোনো শব্দ নেই, কোলাহল নেই, নীরব-নির্জন হয়ে আছে সবকিছু। পার্কের পাশ দিয়ে মোটরসাইলে যেতে যেতে যত দূর দেখা যায়, দেখি, জনমানুষের চিহ্ন নেই কোথাও। নেই খেলার যন্ত্রপাতির শব্দ। এটি যেন এক মৃত নগরীর ভূতে বাড়ি। যেন বহুকাল আগেই এখান থেকে মানুষের পদচারণা শেষ হয়ে গেছে।
আশপাশের দোকানগুলোও বন্ধ। পার্কের মসজিদটা খোলা থাকলেও নেই আগের মত মুসল্লি। মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে সরকারি নির্দেশনায় মানুষ এখন ঘরবন্দি। যে কারণে লক্ষ্মীপুর শিশু পার্কটি নিস্তব্ধতা দেখা যাচ্ছে। আবার সেই শিশু ও অভিভাবকদের পদচারণায় ভারে উঠবে পার্ক আঙ্গীনা। এ মহামারি থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে রক্ষা করবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।