দিগন্তের আলো ডেস্ক
মারাত্মক ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে দেশে দেশে চলছে লকডাউন। নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। তবে এতকিছুর পরেও মারণ এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রতি মিনিটে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার। কিভাবে এই ভাইরাস এত দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে সেটা নিয়ে ধন্দে পড়েছেন বিজ্ঞানীরাও।
ইমার্জিং ইনফেকশন ডিজিজেস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজন ব্যক্তি ৫ দশমিক ৭ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। গবেষকরা বলছেন, আমরা যে হারে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছিলাম এটি তার থেকেও দ্বিগুণ হারে ছড়িয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে গবেষকরা জানান, করোনায় আক্রান্ত একজন ব্যক্তি ২ দশমিক ২ থেকে ২ দশমিক ৭ জনকে আক্রান্ত করছে।
তবে গবেষকরা এখন বলছেন, নিউ মেক্সিকোতে লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা যারা উহান প্রাদুর্ভাবের প্রাথমিক পর্যায় নিয়ে গবেষণা করেছেন তারা দেখতে পেয়েছেন, প্রতিটি বাহক প্রকৃতপক্ষে গড়ে ৫ দশমিক ৭ জনকে সংক্রামিত করেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে শতকরা ৮২ ভাগ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। প্রথম গবেষণায় তারা ৫৫ ভাগ মানুষের ইমিউন সিস্টেম বাড়ানোর কথা বলেছিলেন।
নতুন গবেষনায় ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড ৪ দশমিক ২ দিন ধরা হয়েছে। পূর্ববর্তী গবেষণাতেও একই সময়ের কথা বলা হয়েছিল। তবে ভাইরাসটির উপসর্গ পুরোপুরি বুঝতে এখনও ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে বলা হয়েছে।
প্রাদুর্ভাবের শুরুতে ছয় থেকে সাত দিনের মধ্যে ভাইরাসটি উহানে একজনের কাছ থেকে আরেকজনের মধ্যে ছড়িয়েছিল বলে জানান গবেষকরা।
সূত্র- ফোর্বস ম্যাগাজিন।