ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ

খেলাধুলা

দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
শুরুটা ভাল না হলেও শেষটা দুর্দান্ত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই কৃতিত্বেই সাউদাম্পটন টেষ্ট জিতেছে ৪ উইকেটে। ম্যাচ জিততে শেষদিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন দাড়ায় মাত্র ২০০ রানের। কিন্তু সকালের শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি তাদের। ২৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে বড়ে। দলকে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করে জয়ের পথ দেখান মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান জেরেমি ব্ল্যাকউড। ৯৫ রান করে দলের জয়ে সেরা ভুমিকাটা রাখেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৫ রানের জন্য ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেষ্ট সেঞ্চুরি মিস করলেও তার দল যে ততক্ষণে পৌছে গেছে দলের একেবারে বন্দরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন জয় থেকে মাত্র ১১ রান দুরে। জয়ের সেই আনুষ্ঠানিকতা পুরো করেন জ্যাসন হোল্ডার ও জন ক্যাম্পবেল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার ক্যাম্পবেল সকালের শুরুতেই পায়ে চোট নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। দলের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্ল্যাকউড আউট হলে ফের মাঠে নামেন ক্যাম্পবেল। ফিরেন জয় সাথে নিয়ে।

করোনাকালে মাঠে ফেরা টেষ্ট ক্রিকেটকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয় দিয়েই স্মরনীয় করে রাখল।

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে হার দিয়ে শুরু হলো বেন স্টোকসের।

মিডলঅর্ডারে রোষ্টন চেজ এবং উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান শেন ডারউইচ তাকে কিছুটা সহযোগিতা করেন। রোষ্টন চেজের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ব্ল্যাকউড যোগ করেন ৭৩ রান। ৩৭ রান যোগ কওে রোষ্টন চেজ দিনের দ্বিতীয় সেশনের শেষভাগে ফিরে গেলে ব্ল্যাকউড আরো দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করেন। ডরউইচের সাথে ব্ল্যাকউড পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ হন ৬৮ রান। এই দুই উইকেটই শেষদিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ জয়ের আনন্দ বয়ে আনে।

দিনের শেষ সেশনে ডরউইচ ৩৭ বলে ২০ রান করে স্টোকের বলে ফিরে গেলে ব্ল্যাকউডের সঙ্গে যোগ দেন অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার। সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌছে ব্ল্যাকউড কিছুটা ধৈর্য্য হারিয়ে বসেন। স্টোকসকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ভুল বলটা বেছে নিলেন। কাভারে লাফিয়ে উঠে ক্যাচটি নেন জেমস অ্যান্ডারসন। ব্ল্যাকউডের সেঞ্চুরি থামাতে পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় আটকাতে পারেনি ইংল্যান্ড।

তিন টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এগিয়ে গেল ১-০। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৬ জুলাই, ম্যানচেষ্টারে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড: ২০৪ ও ৩১৩।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩১৮ ও ২০০/৬।

ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে জয়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *