আদালতে মেয়রের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মামলার আবেদন

অপরাদ রায়পুর

দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রায়পুর আদালতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার আবেদনটি আমলে নিয়ে বিচারক বেলায়েত হোসেন রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীর আইনজীবী জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার বিষয়টি রায়পুর থানার ওসিকে তদন্ত করে আগামী ৯ জুন প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঞ্জুরুল আলম রায়পুর পৌরসভার দক্ষিণ দেনায়েতপুর এলাকার বাসিন্দা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সহকারী কমান্ডার।

মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন রায়পুর পৌরসভার কার্য-সহকারী মহিন উদ্দিন বিপু, কর্মচারী আলম মিয়া, সবুজ, মাহমুদুন্নবী ও আবু তাহের সাগর।

এজাহার সূত্র জানায়, রায়পুর থানা মসজিদের পাশে মঞ্জুরুল আলম ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আহম্মদের জমি রয়েছে। সেখানে পুরাতন ভবন ভেঙে যৌথভাবে তাদের একটি ৯ তলা ভবন নির্মাণাধীন। বর্তমানে ৬ তলার ছাদ নির্মাণ কাজ চলমান। ভবন নির্মাণের প্রথম থেকে মেয়র রুবেল ভাটসহ অভিযুক্তরা বাদীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু তিনি দাবি করা চাঁদার এক টাকাও দেননি। এতে মেয়রসহ অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

গত ৪ মার্চ কোন নোটিশ ও তথ্য ছাড়াই পৌরসভার লোকজন এসে ভবনের সামনে ভাঙচুর করে।
ঘটনার সময় বাদী রায়পুর উপজেলা পরিষদে ও তার অংশীদার সৈয়দ আহম্মদ পা ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। খবর পেয়ে বাদী এসে সিঁড়ি ভাঙার কারণ জানতে চান। তখন অভিযুক্তরা ফের ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দেওয়া হবে না বলে জানালে অভিযুক্তরা বাদীর সঙ্গে মারমুখী আচরণ করে হুমকি দেয়।

মঞ্জুরুল আলম বলেন, ৪ মার্চ আমি রাতেই আমি রায়পুর থেকে ওমরাহ করতে যাই। ৫ মার্চে একটি মারামারির ঘটনা সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে পৌর কর্মচারী বিপুকে দিয়ে মেয়র মামলা করিয়েছেন। চাঁদা না দেওয়ার কারণে তারা আমাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন।

রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, নিয়ম না মেনে সেখানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। তারা পথচারীদের হাটার রাস্তা ও পার্কিয়ের ব্যবস্থা রাখেননি। চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। মঞ্জুরুল আলম তা প্রমাণও করতে পারবেন না। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে অন্যায় করার সুযোগ নেই।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, মামলার ঘটনাটি জানা নেই। আদালতের নির্দেশনাও এখনো আসেনি। নির্দেশনাপত্র আসলে তদন্ত করে যথাসময়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *