দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
পশ্চিমবঙ্গের ‘ভবানীপুর’ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আজ। এ উপনির্বাচনে ভাগ্য নির্ধারণ হবে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে টিকে থাকতে হলে এই কেন্দ্র থেকে তাকে জিততেই হবে।
দক্ষিণ কলকাতার ‘ভবানীপুর’ মমতার নিজের এলাকা। তিনি কেবল এই বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাই নন, ২০১১ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনেও এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা। এ কেন্দ্রে তার প্রধান দুই প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরিওয়াল ও সিপিআইএম’এর আইনজীবী প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস।
করোনার আবহেই গত মার্চ-এপ্রিল মাসে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, এর মধ্যে সাত প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। তখন লড়াইটা সীমাবদ্ধ ছিল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। আর এবারের উপনির্বাচনে মমতা, প্রিয়াঙ্কাসহ মোট প্রার্থী ১২ জন।
সদ্য বিধানসভার নির্বাচনে নিজের পুরনো কেন্দ্র ‘ভবানীপুর’ ছেড়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ‘নন্দীগ্রাম’ কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মমতা। কিন্তু ওই নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১৯৫৬ ভোটে পরাজিত হন মমতা। যদিও তার দল তৃণমূল কংগ্রেস ২৯২ টি আসনের মধ্যে ২১৩ টি আসন পেয়ে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসে। যদিও মমতার ছেড়ে যাওয়া ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিরাট ব্যবধানে জয়ী হন সিনিয়র তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টপাধ্যায়। তিনি কৃষিমন্ত্রীও হন। বিধায়ক পদ ছাড়লেও তিনি মন্ত্রী আছেন।
বিধায়ক না হলেও গত ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মমতা। ১০ মে শপথ নেয় তার মন্ত্রিসভার বাকি ৪৩ জন সদস্য। নিয়ম অনুযায়ী কোনো মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই তাকে রাজ্যের কোনো না কোনো বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হয়। সেক্ষেত্রে জল্পনা চলছিল মমতা কি তবে নিজের পুরনো কেন্দ্র ভবানীপুর থেকেই ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন? এরই মধ্যে মমতার রাস্তা পরিষ্কার করতে গত মে মাসেই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ইস্তফা দেন শোভনদেব। ফলে ওই আসনে উপনির্বাচন জরুরি হয়ে পড়ে।
আজ সকাল ৭ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে তা চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ পর্যন্ত। মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৬ হাজারের ওপরে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের তরফে একাধিক সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
আজ ‘ভবানীপুর’এর সঙ্গেই মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্র দুটিতেও সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩ অক্টোবর তিনটি কেন্দ্রেই ভোটগণনা।