অভিযোগ ছাড়া মোবাইল চেক করতে পারবে না পুলিশ

আইন আদালত

দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
কারো ব্যক্তিগত ডিভাইস চেক করলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে ভিকটিম বা যেকোনো নাগরিক। নতুন আইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরাসরি অভিযোগ ছাড়া কারও ডিভাইস চেক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ রহিতকরণ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আরও পড়ুন : সাইবার নিরাপত্তা আইনে সংবাদ মাধ্যমের কেউ হয়রানি হবেন না

নতুন সাইবার সিকিউরিটি আইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নাগরিকের ব্যক্তিগত ডিভাইস চেক করার সুযোগ আছে কি না, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কোন কারণ ছাড়া পুলিশ কারো ব্যক্তিগত মোবাইল বা ডিভাইস চেক করতে পারে না। তবে কোন ব্যক্তির প্রতি সন্দেহ হলে সেক্ষেত্রে ভিন্ন ঘটনা।

আইনমন্ত্রী বলেন, নতুন সাইবার সিকিউরিটি আইনে পুলিশ কারও ব্যক্তিগত ডিভাইস চেক করলে ভুক্তভোগী পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। নতুন আইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরাসরি অভিযোগ ছাড়া কারও ডিভাইস চেক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তবে পুলিশের কাছে নালিশ আশার পর তারা ব্যবস্থা নিতে পারবে।

সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, নতুন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে আসবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব অপপ্রয়োগ হয়েছে তা নতুন আইনে থাকবে না। ফলে সাইবার নিরাপত্তা আইনে সংবাদ মাধ্যমের আর কেউ হয়রানির শিকার হবেন না।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে এক পয়সা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। তার মানে এই নয় যে জরিমানা সব সময় ২৫ লাখ টাকা হবে। অপরাধের ধরনের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞ আদালত জরিমানা করবেন, আইনে এটা বলা হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে সব ধারায় জামিনযোগ্য করেছি। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অধিকাংশ ছিল জামিন অযোগ্য।

মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু মানুষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনেকে নতুন বোতলে পুরানো মদ বলছে, এটা ঠিক নয়। যেমন ২৯ ধারা মানহানিতে জেল ছিল এটা এখন নেই , ২১ ধারায় জেল ছিল ১০ বছর এখন এটা কমে ৭ বছর হয়েছে, তাহলে এটা কি নতুন নয়?

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মইনুল কবির, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *