অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে লক্ষীপুরের সড়ক-স্থাপনা

অপরাদ লক্ষ্মীপুর

সাহাদাত হোসেন ( দিপু) ঃ-
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে সড়ক, স্থাপনা, ফসলী জমি ও বসতভিটা।
লক্ষীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে স্থানীয় কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যক্তি । এতে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা-ঘাট, জমি, গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনায়াসে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী সড়ক, কালভার্ট, বিভিন্ন স্থাপনার সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে নদী, খাল ও পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না। অথচ জেলার বিভিন্ন এলাকায়, বিশেষ করে মান্দারী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মোহাম্মদ নগর এলাকায় প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করে আসছে কিছু অসাধু চক্র। ২ নং ওয়ার্ড ও এর আশেপাশে এলাকায় নাজিম হোসেন, বাহার, একই ইউনিয়নের দক্ষিণ মান্দারী গ্রামের সয়েল, থানার দিঘলী ইউনিয়নের গোবিয়ারখীল গ্রামের মোহাম্মদ আলী, খালেক, একই ইউনিয়নের জকু পাটোয়ারী বাড়ির স্বপন, ও রাজাপুর এলাকার সয়েল, দত্তপাড়া ইউনিয়নের পারবেজ, কাদের লাহারকান্দি ইউনিয়নের রিপন, ও কালামসহ কমবেশি প্রায় প্রত্যেকটি ইউনিয়নে আরও অনেকেই সরকারি নিয়ম অমান্য করে, প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে, হরহামেশাই খাল, পুকুর, ও বিল, থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন স্থানীয় কিছু অসাধু লোকজন।

জেলার বিভিন্নস্থানে এভাবে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ চলমান রয়েছে। অবৈধ মেশিনগুলোর মালিকরা থানার বিভিন্নস্থানে ঘুরে ঘুরে গ্রামের পরিত্যাক্ত খাল, ডোবা ও পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ড্রেজার মেশিন মালিকরা জানান, নিচু জমি ভরাট, বাসা-বাড়ি ও নির্মাণ কাজসহ বিভিন্ন কাজের জন্য স্বল্প খরচে বালু উত্তোলন করে তা বিক্রি করেন। দাম নির্ভর করে দূরত্বের ওপর। গ্রাম-গঞ্জের রাস্তা ও বিভিন্ন স্থাপনা তৈরির কাজে ঠিকাদারেরা তাদের মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করেন।

লক্ষীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাছুম দিগন্তের আলোকে বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। বালু উত্তোলন করতে হলে সরকার স্বীকৃত নির্ধারিত বালু মহাল থেকে তা উত্তোলন করতে হবে। পুকুর বা ডোবা থেকে বালু উত্তোলনের সময় সেখানে যে শূন্যস্থান তৈরি হয় তার কারণে আশপাশের ভূমি বা ভূমিতে অবস্থিত রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি, গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তিনি আরও বলেন অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে যদি কেউ বালু উত্তোলন করে তার নিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *